ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ: ইরান কেন পারমানবিক বোমার অধিকারী হতে পারবে না?
ইসরাইল যদি পারমানবিক বোমা রাখতে পারে, তবে ইরান নয় কেন?
এই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া। নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, ইরান এখনো তা তৈরী করেনি, করার পথে আছে। কবে করতে পারবে, বা আদৌ করবে কিনা আমরা জানি না।
আনবিক বোমা একটি 'ডিটারেন্ট' শক্তি। যে দেশের হাতে থাকে তার উপর আগ্রাসন করতে অন্য দেশের স্বাভাবিক ভয় থাকে। ইরান কেন নিরাপত্তার স্বার্থে এটা তৈরী করতে পারবে না?? ইসরাইলের আগ্রাসী রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ইরানের পারমানবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক নয়। মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতি এতে ভারসাম্য পূর্ন হবে। এর ফলে সৌদিআরব যদি আনবিক বোমা বানায় তাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কি বেশী ঝুঁকিপূর্ণ হবে? মনে হয় না। হয়তো আমেরিকার মোড়োলি করতে একটা ঝামেলা বাড়বে।
তিনি লেখেন, শুধুমাত্র প্যালেষ্টাইনীদের ধংস করা নয়, গাজা দখল-অত্যাচার, আরবীয় ভূমি দখল করে পর্যায়ক্রমে বৃহৎ ইসরাইল গঠন করার ইস্রাইলি রাজনীতি ও সমরনীতিতে কিছুই আর লুকাইত নাই। ইসরাইলই মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির কারন। ইসরাইল আরো বড় হলে, দানব হবে, অন্য রাজ্য গ্রাস করবে। মানবতা-সমাজ-সভ্যতা ধুলিস্মাত করে দেবে।
দানব ইসরাইল বানানো বাদ দিয়ে দুই রাষ্ট্র (প্যালেষ্টাইন ও ইসিরাইল) নীতি বাস্তবায়নে ফেরত যেতে হবে।
বর্তমান সময়ে ইসরাইলের পার্শবর্তী যেসব দেশ আছে তারা হয় ভয়ে, অথবা আমেরিকার চাপে ইসরাইলের সঙ্গে কোন রূপ বিবাদ থেকে বিরত থাকে। যদি কোন দেশের নেতৃত্ব আত্মসম্মানবোধ নিয়ে অগ্রসর হয়, তবে পরিচিত বৃহৎ শক্তি ষড়যন্ত্র করে ঐসব সরকার ফেলে দেয়। এই সব বৃহৎ শক্তি থেকে সাবধান, সবাই জেগে ওঠো নিজের শক্তিতে।
শোনা যায়, ইরানেও রেজিম চেঞ্জ করার ভাবনা আছে। কি হবে জানিনা। তবে এটা জানি, ইরানিরা খুব আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন জাতি। তারা নিশ্চয় শেষ পর্যন্ত লড়ে জয়লাভ করবে।
সংগ্রামী ইরানি মানুষের জন্য দোয়া ও নৈতিক সমর্থন থাকল।