প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের শিল্পখাতকে বাঁচানোর কোন উদ্যোগ নেই। বরংচ শিল্পখাতকে কিভাবে সংকোচিত করা যায় তার সমস্ত প্রস্তাব এই বাজেটে করা হয়েছে। বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় শিল্পকে নিরুৎসাহিত করে, ব্যাংকের উচ্চসূদহার রেখে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবেনা। সরকারের উচিত ছিল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা দেখতে পাইনি।
প্রস্তাবিত বাজেটের কর কাঠামো নিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন তার শিল্প টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করছে। সেই সময়ে কর্পোরেট কর আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ছোট ইন্ডাস্ট্রি যাদের বার্ষিক ৪ কোটি টাকার টার্নওভার। তাদের উপর ১ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। এটি আগে ছিলনা। ব্যাক্তিগত কর হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩৮ লাখ টাকার উপরে আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এটি শিল্প উদ্যোক্তাদের শিল্পস্থাপনে নিরুৎসাহিত করবে।
সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমানো হয়েছে।এতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়বে। স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচাররা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। গার্মেন্ট শিল্পে প্রণোদনা কমানো হয়েছে। তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রীম কর আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় সূতা উৎপাদকদের উপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বাজেট শিল্পবান্ধবকতো নয়ই। এটি শিল্প সংকোচনের বাজেট হয়েছে।