বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার মব ঘটনার সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে।
সোমবার দুপুরে দৈনিক দেশবার্তাকে দলের এই অবস্থানের কথা জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে,বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার গ্রেফতার প্রক্রিয়া এবং তার বিচার প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। তবে তার সাথ্র যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির যেকোনো নেতা-কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণের দায়ে আমরা ব্যবস্থা নেব, এটাই আমাদের অবস্থান।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আমরা চাই, কোনো ব্যক্তি যতবড় অপরাধীই হোন না কেনো তার আইনি এবং সাংবিধানিক অধিকার যেন ভোগ করার অধিকার অক্ষুন্ন থাকে, যতবড় অপরাধীই হোন না কেনো তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার যেন ক্ষুন্ন না হয়।
কে এম নুরুল হুদার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন দলীয়করণেরও সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধবংস করার জন্য এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দেয়ার জন্য যে ক‘জন ব্যক্তি দায়ী তার মধ্যে নুরুল হুদা অন্যতম। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি কুলষিত এবং ধবংস করার জন্য আরও কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী।যেমন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তবে আমরা কখনো আওয়ামী লীগের অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে সাবেক প্রধান কেএম নুরুল হুদাকে আর বাসা ঘেরাও করে বের করে উত্তেজিত জনতা। তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এরপর তুলে দেয় পুলিশের হাতে। সাবেক সিইসিকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।