যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি ঘাঁটিতে ফিরে গেছে ইরানে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ সম্পন্ন করা একটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি স্ট্যাটাস থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া পোস্টে জানান, ইরান মিশনে অংশ নেওয়া বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমানের পাইলটরা নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘দারুণ দক্ষ বি-২ পাইলটরা এখনই নিরাপদে মিজৌরিতে অবতরণ করেছেন। দারুণ কাজের জন্য ধন্যবাদ!’
ইরানে নজিরবিহীন এই মার্কিন অভিযানে সাতটি স্টেলথ বি-২ বোমারু বিমান অংশ নেয়। সব মিলিয়ে এই অভিযানে ১২৫টির বেশি উড়োজাহাজ অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল বি-২, জ্বালানি ভরার ট্যাংকার উড়োজাহাজ, নজরদারি উড়োজাহাজ ও যুদ্ধবিমান।
প্রতিটি বি-২ বোমারু বিমান দুটি করে বাংকারবিধ্বংসী বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রতিটি বোমার ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ভূগর্ভস্থ ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসে সক্ষম একমাত্র এই বোমা।
গত শনিবার রাতে ইরানের ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
অভিযানের পর ট্রাম্প জানান, খুব সফলতার সঙ্গে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান। এর মধ্যে ফর্দো ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে। ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, তেহরান যদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্ত না হয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।
তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো মার্কিন হামলার কথা স্বীকার করেছে ইরান। এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে তেহরান। হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান বলেছে, এই হামলা ‘ক্ষমার অযোগ্য’।
ইরানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, হামলায় ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার ‘মারাত্মক কোনো’ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে পারে—এমন অনুমান থেকে স্থাপনাটি ‘অনেক আগেই’ খালি করা হয়েছিল।