সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৩:২৮
| চলমান বার্তা: |
৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে
দেশবার্তা প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৮:২১ (ভিজিটর : )
বাংলাদেশে টাইফয়েড জ্বরের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজারে টাইফয়েডের কিছু টিকা রয়েছে। কিন্তু, এই টিকা অনেক উন্নতমানের এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত।আগামী ১২ অক্টোবর থেকে পরবর্তী দশ দিন ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্কুল কলেজে টিকা দান কার্যক্রম চলবে। পরবর্তীতে পহেলা নভেম্বর থেকে পরবর্তী দশ দিন ইউনিয়ন পর্যায়ে সেন্টারগুলো থেকে টিকা দেওয়া হবে।
গত ১ আগস্ট থেকে সারাদেশে স্কুল কলেজগুলোতে এ বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। www.vexepi.gov.bd এই ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য দিয়ে শিশুদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের এই রেজিস্ট্রেশন থাকবে টিকাদানে তারা ১২ অক্টোবর থেকে যেকোনো সেন্টারে গিয়ে টিকা দিতে পারবে।সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সেন্টারগুলোতে শিশুরা টিকা দিতে পারবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা আছে।
মহাপরিচালক বলেন, টাইফয়েড একটি সংক্রামক রোগ। খাওয়ার আগে এবং মলমূত্রত্যাগের পরে ভালোভাবে হাত ধুলে এই রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। তবে অন্যান্য কারণেও এই টাইপের রোগ হতে পারে। টাইফয়েড রোগ একটি ছোঁয়াচে এবং কঠিন রোগ।
অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, সারাদেশের নয় মাস বয়স থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। যাদের জন্ম সনদ নেই তাদেরকেও টিকা দেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে তাদের তথ্য বিস্তারিতভাবে সেন্টারগুলো কর্মকর্তাদের কাছে দিতে হবে।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে সংক্রমণজনিত রোগের অন্যতম প্রধান কারণ টাইফয়েড। টাইফয়েড জ্বর ‘স্যালমোনেলা টাইফি’ নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। মূলত দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে এই রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। টাইফয়েড প্রতিরোধে টিসিভি (টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন) টিকা কার্যকর ও নিরাপদ।
মহাপরিচালক জানান, বিশ্বব্যাপী এই টিকা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছাড়াই শিশুরা গ্রহণ করছে। পাকিস্তান, নেপাল ও বিভিন্ন দেশে এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত টিসিভি টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক যাচাইকৃত। টিসিভি টিকা দেওয়ার পর সামান্য প্রতিক্রিয়া, যেমন: টিকা দেওয়ার স্থানে চামড়া লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া, সামান্য ব্যথা, অল্প জ্বর, মাথা ব্যাথা, ক্লান্তি ভাব এবং মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে; যেগুলি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অ্যাডমিন ও প্লানিং, পরিচালক প্রশাসন ডাক্তার মোহাম্মদ আবু হানিফ, ইপিআই’র লাইন ডিরেক্টর ডাক্তার মো. আব্দুল্লাহ আল মুরাদসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতামত লিখুন:
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩
অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে
১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রুদ্ধশ্বাস হার বাংলাদেশের 
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ন্যায়বিচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব
এনসিসি ব্যাংকের প্রথম বার্ষিক টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ
মেহেদির রং না শুকাতেই ছেলের মৃত্যু, শোকার্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ফাউন্ডেশনের
আজ কমরেড মফিজ আলীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী 
বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার এ বিএম আব্দুস সাত্তার
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা
রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা গড়তে চান তারেক রহমানস্বত্ব © ২০২৫ দেশ বার্তা | সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী তোফায়েল আহমদ।
