চিকিৎসা শাস্ত্রের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে এবারের নোবেল পর্ব। চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ৩ বিজ্ঞানী- মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং শিমন সাগাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এটি রোগ-প্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব উপাদান (self-antigens) এবং ক্ষতিকারক নয় এমন বহিরাগত উপাদান (যেমন: কিছু খাদ্য উপাদান, উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া) এর বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া (immune response) সৃষ্টি হওয়া রোধ করা হয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সুইডেনের স্টকহোমে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন এ বছরের বিজয়ীরা।
দ্য নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মানবদেহে শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত থাকতে হয়। তা না হলে এটি অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রমণ করতে পারে। মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি এ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন। যা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শরীরের ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখে।
গত বছর এই বিভাগে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে ট্রান্সক্রিপশন পরবর্তী ভূমিকা বিষয়ক গবেষণার জন্য।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যা, বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সবশেষ ১৩ অক্টোবর অর্থনীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি।
দেশবার্তা/আরএইচ