ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য দীর্ঘ আলোচনার পর দেশকে রাজনৈতিক সঙ্কটের গভীরে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্যই তার এ সিদ্ধান্ত।
পুরনো ও নতুন মুখের মিশ্রণে তৈরি এই নতুন মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা, যাতে তারা কয়েক মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারে এবং ঝুলন্ত সংসদের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বাজেট পাস করতে পারে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। সূত্র: বাসস
গত রোববার তিনি তার প্রথম মন্ত্রিসভা উপস্থাপন করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত নতুন মুখ না থাকার জন্য সমালোচনার মুখে একদিন পরেই পদত্যাগ করেন। ম্যাক্রোঁ শুক্রবার তাকে পুনরায় চেষ্টা করার জন্য নিয়োগ দেন।
লেকর্নু রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, বছর শেষ হওয়ার আগে ফ্রান্সকে বাজেট প্রদানের জন্য একটি মিশন-চালিত সরকার নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের দপ্তরের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, জিন-নোয়েল ব্যারোট পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেই বহাল থাকবেন। তবে, বিদায়ী শ্রমমন্ত্রী ক্যাথেরিন ভাউট্রিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ম্যাক্রোঁর অনুগত রোল্যান্ড লেস্কুর অর্থনীতির দায়িত্বে আছেন। আগামী বছরের বাজেটকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই মন্ত্রিসভায় নতুন মুখও এসেছেন।
প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ট নুনেজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি ব্রুনো রিটেইল্যুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
ব্রুনোর ডানপন্থী রিপাবলিকান দল বলেছে, তারা এই সপ্তাহান্তে কোনও সরকারে অংশ নেবে না।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ) এর ফ্রান্স শাখার সাবেক পরিচালক মনিক বারবুট পরিবেশগত রূপান্তর মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে জেরাল্ড ডারমানিন বিচারমন্ত্রী হিসেবেই বহাল থাকবেন এবং কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত সংস্কৃতিমন্ত্রী রাচিদা দাতি তার পদে বহাল রয়েছেন। দাতি আগামী বছর দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে চলেছেন।
দেশবার্তা/আরএইচ