টেকসই অর্থায়ন ও পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং কার্যক্রমে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ‘এনসিসি ব্যাংক পিএলসি’ তাদের প্রথম বার্ষিক টেকসই প্রতিবেদন–২০২৪ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ব্যাংকের উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেকসই অর্থায়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম’-এ প্রতিবেদনটি উন্মোচন করা হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী।
তিনি টেকসই অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন, পুনঃঅর্থায়ন ও সামাজিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং এনসিসি ব্যাংকের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং খাতে পরিবেশগত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। এনসিসি ব্যাংক যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও অনুকরণীয়।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে এনসিসি ব্যাংক ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ দশটি টেকসই ব্যাংকের মধ্যে স্থান পেয়েছে। পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
তিনি আরও জানান, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি জাতীয় টেকসই নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ টেকসই পথচলা আরও সুদৃঢ় হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা এম. খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও মো. মনিরুল আলম, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক কার্যালয় ও শাখা ব্যবস্থাপকসহ প্রায় ১৫০ জন নির্বাহী ও কর্মকর্তা।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আহমেদ যুবায়ের মাহবুব, যুগ্ম পরিচালক মো. আবু রায়হান, সহকারী পরিচালক মো. আবু নাইম এবং ইউরো নিটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ হোসেন খান আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনসিসি ব্যাংকের এসভিপি ও সাসটেইনেবল ব্যাংকিং ও উইমেনস ব্যাংকিং প্রধান নিঘাত মমতাজ।
প্রোগ্রামের শেষে ‘এনসিসি গ্রিন অলিম্পিয়াড’-এর বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা টেকসই অর্থায়ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়।
দেশবার্তা/একে