করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। রোববার (১৫ জুন) থেকে পজিটিভ রোগীদের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আগামী একমাস ফলোআপ করা হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্টগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাবে।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আগাম সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে যারা বয়স্ক মানুষ ও বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে ভুগছেন তাদের বেশি সাবধানতা অবলম্বনে পরামর্শ দেন তিনি।
রাজধানীসহ সারাদেশে বর্তমানে কত শতাংশ রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছেন। এই সংখ্যা শতাধিকের বেশি হবে না। এত অল্পসংখ্যক ব্যক্তির নমুনা দিয়ে শতাংশের হিসেব করলে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, স্বল্প সংখ্যক নমুনা হিসেবে আক্রান্ত রোগীর হার শতকরা ৮ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে থাকছে। শুধু একদিন ১৩ শতাংশের বেশি আক্রান্ত ছিল। তবে এই শতাংশের হিসেব দিয়ে সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না বলে তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী সত্যিকার অর্থে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনিসহ আরও যে কয়েকজন মারা গেছেন তাদের সবারই বয়স ৬০ বছরের বেশি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আগের মতোই বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে তিনি জানান।
সর্বশেষ শনিবার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারাদেশে ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্ত পাওয়া গেছে সাতজন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় চারজন ও চট্টগ্রামে ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। সিলেটে একজনের নমুনা পরীক্ষা হলেও করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভর্তি রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন পাঁচজন।