চলমান বার্তা: |
অবস্থা বেগতিক দেখে ভুক্তভোগীরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। বুধবার চাক্তাইয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। তারা বলছেন, পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকায় চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাত দিনের মধ্যে চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তারা। বুধবার খাতুনগঞ্জেও শ্রমিক সংগঠনের নামে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বোঝাই যাচ্ছে, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বড় বিপদে পড়েছেন। এই বিপদ শুধু তাদের ঘাড়েই বর্তে নেই, ভোক্তা শ্রেণিও পড়েছেন বিপদে। চাঁদাবাজির কারণে বাড়ছে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ অনেক ভোগ্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় উল্লেখিত এলাকায় পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। চাঁদাবাজরা নাকি লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। আমাদের প্রশ্ন, প্রশাসন, বিশেষত পুলিশ প্রশাসন কী করছে? রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের অনেক দিন পার হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম দু-চারদিন সুযোগসন্ধানীরা অনিয়মের রাজত্ব চালালে হয়তো তেমন কিছু করার ছিল না। কিন্তু তিন সপ্তাহ পরও যদি চাঁদাবাজদের অরাজকতা চলতে থাকে, তাহলে এর দায় অবশ্যই প্রশাসনকে নিতে হবে। পুলিশ সদস্যরা তো কাজে যোগ দিয়েছেন। ফলে শৃঙ্খলা কেন ফিরে আসছে না, তা এক বড় প্রশ্ন। এমনিতেই চড়া দ্রব্যমূল্যের কারণে সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষ দুর্ভোগে জীবন কাটাচ্ছেন। পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।
প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সর্বস্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন দেশবাসীকে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, এক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসেনি। পরিবহণ শ্রমিকের চাঁদাবাজি অনেক পুরোনো সংকট। আমরা মুখে বলছি নতুন বাংলাদেশ অথচ সমাজের খারাপ নিয়মগুলো বহাল তবিয়তেই থেকে যাচ্ছে। আমরা আশা করব, শুধু চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ নয়, দেশের সর্বত্রই ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজদের কবল থেকে মুক্ত করতে সরকার এগিয়ে আসবে।