‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে–মান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান (বিএসটিআই)-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিয়াজ উদ্দিন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই দিনাজপুরের উপপরিচালক ও অফিস প্রধান মো. হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) দিপক কুমার দাস (পিপিএম) ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহ্ মুহাম্মদ শরীফ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের দায়িত্ব হচ্ছে বিএসটিআইয়ের মানদণ্ড মেনে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা। অন্যদিকে ভোক্তাদের উচিত মানসম্পন্ন পণ্য ক্রয় ও সচেতন থাকা। উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সবাই মিলে মান রক্ষায় কাজ করলে গড়ে উঠবে গুণগত মানসম্পন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম হবে।’
বিএসটিআই দিনাজপুরের পরিদর্শক মীর মো. সাইফ আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিশ্ব মান দিবসের তাৎপর্য নিয়ে ভিডিও প্রদর্শন করেন পরিদর্শক শামীম আজাদ বকুল।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বোরহান উদ্দীন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক প্রভাতি রানী, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান জুয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ইনচার্জ কাজী রবিউল আলম ও পেট্রোল পাম্প মালিক গ্রুপের সভাপতি এটিএম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মান নির্ধারণ করে, তবে বিএসটিআই বাংলাদেশের আবহাওয়া, বাজার পরিস্থিতি ও ক্রেতার প্রয়োজন বিবেচনা করে মান নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, পণ্যের মান নিশ্চিত করা এখন বাধ্যতামূলক, পাশাপাশি অ-বাধ্যতামূলক পণ্যের মান যাচাইয়েও বিএসটিআই কাজ করছে।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, দেশীয় অনেক পণ্য এখন আইএসও মান অনুসরণ করছে। তাই ব্যবসায়ীদের উচিত গুণগত মানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া এবং রপ্তানির কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক মানে পণ্য উৎপাদন করা। তাহলেই আজকের এই বিশ্ব মান দিবসের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে।