দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষদ ও হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ভোট দেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা রায় নিহা। প্রথমবার ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দিলাম। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশাবাদী, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাসকে নারীদের জন্য আরও নিরাপদ করবেন এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। বিকেল ৪টার মধ্যে যারা লাইনে থাকবেন, তারাও ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন—এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ১৮৪ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন।
কেন্দ্রীয় নির্বাচনে ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২ জন প্রার্থী। এছাড়া ১৪টি হল সংসদে লড়ছেন ৪৭৩ জন প্রার্থী। প্রতিটি হলে ১৪টি করে মোট ১৯৬টি পদ রয়েছে।
এ ছাড়া শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল সংসদের ১০টি পদের জন্য লড়ছেন ২০ জন প্রার্থী। ফলে একজন ভোটারকে মোট ৪০টি ভোট দিতে হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে পাঁচ পাতার ব্যালটে ওএমআর ফরমে। ভোট শেষে মেশিনে গণনা করে ১৫টি কেন্দ্রে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে এবং ব্যবসা অনুষদ ভবনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পুরো ভোটগণনা প্রক্রিয়া এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে।
দেশবার্তা/একে