বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পিআর আমি নিজেই বুঝি না, সাধারণ মানুষ বুঝবে কী? দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘গণভোট আর পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না—এসব দাবিদাবা-মিছিল করে তারা নির্বাচনটা পণ্ড করতে চায়।’
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুল মাঠে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও মহিলা সমাবেশে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গড়েয়া ইউনিয়ন বিএনপি এ সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত হবে, সেগুলো জুলাই সনদে সই করা হবে। বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। তাই নির্বাচনটা দিন, দেশকে অস্থিরতা থেকে মুক্ত করুন। আমরা হিংসার রাজনীতি চাই না, হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ চাই না। সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে আমরা সরকারে ছিলাম, জানি দেশ কিভাবে পরিচালনা করতে হয়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে, প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে ফ্যামিলি কার্ড। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং কৃষকদের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তিনিই নির্বাচিত হবেন। দেশকে বিভক্ত করবেন না, ক্ষতি করবেন না। আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, যেখানে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকবে। আমি আপনাদের ছেড়ে যাইনি, যাবও না। ভুলে যাবেন না—মার্কাটা হলো ধানের শীষ।’
এ সময় গড়েয়া ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমত ভক্তিবিনয় স্বামী মহারাজ, লসকরা গৌড়ীয় মঠের ধর্মীয় গুরু স্বামী ভক্তিকেতন মহারাজ, বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/একে