নেত্রকোনার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ধলাই নদী একসময় যার খরস্রোত গতি ও সৌন্দর্যে প্রাণ পেত শহর, সেই নদী দীর্ঘ সময় ধরে দমবন্ধদশায় ছিল কচুরিপানার আচ্ছাদনে। নদী হারিয়েছিল তার স্বাভাবিক গতি, সৌন্দর্য ও প্রাণ। তবে এবার নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে সম্মিলিত প্রয়াস।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের উদ্যোগ এবং পৌর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহায়তায় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ১২ টার দিকে ধলাই নদীতে শুরু হয়েছে কচুরিপানা পরিস্কারকরণ অভিযান। নদী রক্ষার এই জনবান্ধব উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন সাধারণ মানুষও।
এ অভিযানে এসে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ শুধু নদীর নয়, মানুষেরও জীবন বাঁচাবে। কারণ নদী বাঁচলে কৃষি, পরিবেশ ও স্থানীয় অর্থনীতি- সবই টিকে থাকবে।
অভিযানের অংশিজন নেত্রকোনা পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, ধলাই নদীকে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাণ ফিরিয়ে দিতেই এই পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়েছে। দূষণমুক্ত ও প্রাণবন্ত শহর গড়তে পৌরসভা সবসময় জনগণের পাশে থাকবে।
তিনি আরও জানান, এ উদ্যোগ কেবল নদী রক্ষার জন্য নয়; বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং শহরের নাগরিক জীবনের মান উন্নয়নের লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নদীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অংশ নেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু জেলা বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন খান চঞ্চল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহষ্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনা জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রণির উদ্যেগে ইতিপূর্বে এ নদী পরিষ্কার অভিযানে নেমেছিলেন স্থানীয়রা। এর আগে বহুবার পৌরসভা থেকে নদীটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা শেষ করা হয়নি।
প্রতিনিধি/আরএইচ