টাঙ্গুয়ার হাওর ছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার অন্যান্য হাওরে ট্যুরিজমের পরিবেশ ও সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেগুলো ট্যুরিজমের আওতায় আনতে জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা যখন সুনামগঞ্জে আসেন, তখন টাঙ্গুয়ার হাওরের পাশাপাশি অন্যান্য হাওরের স্পট এবং সুন্দর সুন্দর ভিউ দেখতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন।
‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সুনজিত কুমার চন্দ।
তাপস শীল আরও বলেন, পর্যটকদের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করতে হবে। পর্যটকদের স্বাগত জানানোর সেইরকম পরিবেশ আমাদের নেই। এজন্য পাঠ্যপুস্তকেও এসব বিষয় সংযোজন করা দরকার। হাওর এলাকার বাসায় যখন কোনো গেস্ট আসেন, তখন আমরা তাদেরকে যেভাবে ট্রিট করি, সেইভাবে পর্যটকদের ট্টিট না করলে ট্যুরিজম সেক্টর এগুতে পারবে না।
আমরা যেসব ট্যুরিস্ট পাই, সেসব ট্যুরিস্ট মূলত আমাদের দেশের। বাইরের দেশের ট্যুরিস্ট আসে না। বিদেশ থেকে ট্যুরিস্ট খুব কমই আসেন।
তিনি বলেন, বিশ্বে ট্যুরিজমের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ফ্রান্স, চায়না, ইটালি, স্পেন, থাইল্যান্ড। এই দেশগুলো কিন্তু বাইরের দেশের ট্যুরিস্ট পাচ্ছে। বাইরের দেশের টুরিস্ট আসলে ডলার আয় হয় এবং ইনকাম বাড়ে।
সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ দে, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, জেলা আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম হেলাল, সুনামগঞ্জ ট্যুরিস্ট পুলিশ ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত, হোটেল পিস প্যালেসের ম্যানেজার কাজী হাসান কামাল, সাংবাদিক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, শাহজাহান চৌধুরী, রাজু রমজান প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল হামিদ, জেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মুহাইমিনুল হক সহ বিভিন্ন হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পরিবেশবিদগণ।
দেশবার্তা/একে