গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বরখাস্ত করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
শনিবার শহরের কাচারি বাজার এলাকায় ডিবি রোডে মানববন্ধন থেকে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
নারী সংবাদকর্মী দিশা আক্তারকে হেনস্থা এবং খায়রুল ইসলাম, মিলন খন্দকার ও দিশা আক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব।
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুনের সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক জাভেদ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সহ-সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু ও খালেদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মিলন খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রজতকান্তি বর্মন, নির্বাহী সদস্য লালচান বিশ্বাস সুমন, জোবায়দুর রহমান জুয়েল, সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. রেদওয়ানুর রহমান, পলাশবাড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম, মেহেদী বাবু, সোহরাব হোসেন শিরল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথ নিজেদের অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শিশির চন্দ্র দেবনাথ দিশা আক্তারকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে।
জানা গেছে, সংবাদকর্মী দিশা আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে তথ্য ও বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যান। তিনি পরিচয় দিয়ে তথ্য ও বিজ্ঞাপনের কথা বলতেই উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি এক পর্যায়ে দিশা আক্তারের ওপর চড়াও হন। এছাড়া সংবাদকর্মী দিশার হাত থেকে স্মার্ট মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দেশবার্তা/একে