রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় আটশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নের উপর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। এতে আগাম আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদেরপ মধ্যে একজন শিশুশিক্ষার্থীও রয়েছেন।
জানা যায়, বৃষ্টির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে টিনশেড ও আধা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছগাছালি ভেঙে পড়ে। এ সময় আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুতুব হাজীরহাটের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটেছে ও পা ভেঙেছে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় চারশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন জানান, তাদের ইউনিয়নে প্রায়তিনশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশবার্তা/আরএইচ