রংপুর অঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে নদীপাড়ের মানুষের মনে।
সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে রোববার রাত ১১টায় পানিপ্রবাহ ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী,গয়াবাড়ী এলাকার মানুষ জন পানি বন্দী হয়।
এছাড়াও রংপুরের পীরগাছা উপজেলার গাবুড়ার চর, ছাওলার চর, গঙ্গাচড়া উপজেলার চর ছালাপাক, কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু চরের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর চরিতা বাড়ি, উজান তেওড়া চরেও পানি প্রবেশ করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের হাজারও পরিবার পানিবন্দি হয়। তলিয়ে যায় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ। ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে, ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে মানুষজন।
প্রতিনিধি/একে