বরিশাল নগরীর অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্র ডিসি লেক এখন নতুন রূপ পাচ্ছে। লেকপাড় ঘিরে দৃষ্টিনন্দন দেয়াল ও স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এ উদ্যোগের মাধ্যমে লেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্যও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা।
বরিশাল জেলা প্রসাশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বরিশালবাসীর অবসর যাপনের অন্যতম স্থান হিসেবে নগরীর বেলস পার্ক ও ডিসি লেককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই লেকের পাড়ে নান্দনিক দেয়াল নির্মাণ, বসার স্থান, পথচারীদের জন্য হাঁটার ট্র্যাক, আধুনিক আলোকসজ্জা ও সবুজায়নের কাজ করা হবে।
বরিশাল ডিসি লেকপাড়ে নিয়মিত হাঁটতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা সুখেন্দু বলেন, এখানকার কাজ শেষ হলে লেকপাড় আরও নিরাপদ ও সুন্দর হবে। পরিবার নিয়ে বিকেল কাটানোর জন্য বরিশালে খুব বেশি জায়গা নেই, এই লেককে সাজানো হলে আমাদের সবার জন্যই আনন্দদায়ক হবে।
তিনি বলেন, বিষেশ করে সকালে ও সন্ধ্যায় বেলস পার্কে প্রায়ত ভ্রমন কারীদেও ভ্রমন নিরাপদ করতে এই উদ্যোগ কাজে দেবে। বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য প্রয়াত ভ্রমন কারীরা যাতে লেকের পানীতে পরে দূর্ঘটনায় পতিত না হয় সে জন্য এই দৃষ্টিনন্দন দেয়াল ও স্থাপনা আরো আগেই নির্মান করা উচিত ছিলো।
বরিশাল বি এম কলেজ শিক্ষার্থী মাহিমুল হাসান এমদাদ বলেন, ডিসি লেক ইতোমধ্যেই নগরীর একটি জনপ্রিয় স্পট। নতুন স্থাপনা যোগ হলে এটি শুধু স্থানীয় নয়, বাইরের পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হবে। তাই জেলা প্রশাসনের নেয়া এই উদ্যোগ প্রশংস নিয়।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই নান্দনিক দেয়াল ও স্থাপনা নির্মান শেষ হলে ডিসি লেক এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ পরিবর্তন হবে। বরিশালের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যও এই স্থানকে ব্যবহার করা যাবে।
বরিশালের সাংস্কৃতি কর্মী ও সাংবাদিক বেলায়েত বাবলু মনে করেন, ডিসি লেককে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে পারলে বরিশালে পর্যটন শিল্পেরও উন্নয়ন ঘটবে। এ ধরনের উদ্যোগ শুধু নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে না, বরং স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও নগরীর সচেতন মহলের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ডিসি লেক পাড়কে দৃষ্টিনন্দন করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশাকরি এর সুফল নগরবাসী পাবে।