খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় ৭ বছরের শিশু জিসানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সালের বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুপ্ত এলাকাবাসী।
রোববার বেলা আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং মন্ডল মিলের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে ফয়সালের বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফয়সাল (২৫), তার বাবা জিএম হান্নান (৫২), মা মাহিনুর বেগম’কে (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে নিহত জিসানের বাবা তিনজনকে আসামি করে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দিঘলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই লিটন কুমার মন্ডল বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু জিসানের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি শেরপুরে দাফন করা হবে। ঘটনার তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে শিশু জিসানকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ফাঁসির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দিয়ারা খেয়াঘাটে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন শেখ আবু জাফর, অধ্যাপক মনিবুর রহমান, শেখ মাহবুব আলম, মোল্লা নাজমুল হক, মো. জহিরুল ইসলাম, জিয়াউদ্দিন মিলটন, মোল্লা রাজু আহমেদ, মাহামুদুল হাসান মিঠু, আব্দুল কাদের জনি, মোহাম্মদ আলী টুটুল, হালিম খলিফা, রাজীব আহমেদ, সোহেল জাফর মঈন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকালে দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন জিএম হান্নান হোসেনের বাড়ির উঠান থেকে হাত-পা বাঁধা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বস্তার ভেতর থেকে শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার করে দিঘলিয়া থানা পুলিশ এবং যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক তিনটার দিকে নিহত জিসান পার্শ্ববর্তী তার চাচার বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে জিসান নিখোঁজ হয়।