পাটের ব্যাগ চালু করতে সরকার শতকোটি টাকার ফান্ড নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।’
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনারা অনেক জায়গায় রিফাইন্ড ক্যারেক্টার দেখিয়েছেন। বলেছেন, “মানি না”। পাটের ব্যাগের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবর্তন (কালচারাল চেঞ্জ) দরকার আমাদের; কাউকে বাধ্য করে নয়।’
তিনি বলেন, ‘পাটপণ্য ইনোভেশন ও খরচ কমিয়ে এর বাণিজ্যিক সফলতা তৈরি করতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা প্লাস্টিককে হারাতে পারে। এ জন্য নীতি, পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার সমন্বিত উদ্যোগ রাখতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ে। আপনারা যেখানে কাজ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাজ করতে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব তৈরি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথি উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে পাট চাষ, এর রপ্তানি এবং এর ভবিষ্যতের নানা দিক উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে আগামী বাণিজ্য মেলায় কেবল পাটের ব্যাগ প্রচলনের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটির কনভেনর প্রকৌশলী আহসানুল করিম কায়সার প্রমুখ।
দেশবার্তা/একে